সাংস্কৃতিক অঞ্চল কাকে বলে -সাংস্কৃতিক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য

সাংস্কৃতিক অঞ্চল কাকে বলে 

জীবনযাত্রা প্রণালী, ঐতিহ্য, বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, জাতি, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি হল সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে যে অঞ্চল (Region) গঠন করা হয় তাকে বলে সাংস্কৃতিক অঞ্চল। 



সাংস্কৃতিক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য

(১) জীবনযাত্রা প্রণালী, ঐতিহ্য, বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, জাতি, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি ওপর ভিত্তি করে  সাংস্কৃতিক অঞ্চল তৈরি হয়

(২) প্রতিটি অঞ্চল হল এক এবং অদ্বিতীয়।সাংস্কৃতিক অঞ্চল কি

(৩) সাংস্কৃতিক অঞ্চলের লক্ষণ চোখে দেখা যায় না। ইহা সম্পূর্ণ রূপে মানুষের মনন জগতে গঠিত। তাই এই অঞ্চল এ বর্ণনা আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে করা হয়।সাংস্কৃতিক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য

(৪) সাংস্কৃতিক অঞ্চল (Cultural region) বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে ভিত্তি করে করা যায়। এই শ্রেণীবিভাগ পৃথিবীর সর্বত্র সমানভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

(৫) সাংস্কৃতিক অঞ্চলের কোন নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। একটি অঞ্চল থেকে আর একটি অঞ্চল পৃথকীকরণ বিভিন্ন প্রান্তবর্তী অঞ্চল (Transitional region) পাওয়া যায়।

(৬) সাংস্কৃতিক অঞ্চলকে প্রথমে বৃহৎ অঞ্চলে ভাগ করা যায়। তার পর তাকে উপ-অঞ্চলে ভাগ করা হয়। যেমন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে বিভিন্ন ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান, আফগানিস্থান অঞ্চল, ইসলাম অধ্যুষিত অঞ্চল পাই। আবার ভাষার ভিত্তিতে ও অঞ্চলকে ভাগ করা যায়।

(৭) সাংস্কৃতিক অঞ্চল নির্ধারণে যদি আমরা বড় স্কেল ধরে তাহলে সমসত্ত্বার পরিমাণ বেশি হয়। আর যদি ছোট স্কেল ধরা হয় তাহলে সমস্যার পরিমাণ কম হয়।

(৮) সাংস্কৃতিক অঞ্চলকে যখন উপ-অঞ্চলে ভাগ করা হয়, তখন তার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হতে পারে।

সুতরাং সাংস্কৃতিক অঞ্চল হল সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান যেমন জীবনযাত্রা প্রণালী, ঐতিহ্য, বিশ্বাস, ভাষা প্রভৃতির দ্বারা সৃষ্ট অঞ্চল। সাংস্কৃতিক অঞ্চলে মানুষের মননশীলতার গুরুত্ব অনেক বেশি।

Post a Comment

0 Comments