Problems of paper industry in West Bengal . পশ্চিমবঙ্গের কাগজ শিল্পের সমস্যা

Suggest measures to mitigate sickness of paper industry in West Bengal. 

Problems of paper industry in West Bengal

 পশ্চিমবঙ্গের কাগজ শিল্পের সমস্যা 

উঃ 

   পশ্চিমবঙ্গের কাগজ শিল্পের সমস্যা 



(১) বনজ কাঁচামালের সমস্যাকাঁচামালের জন্য বাঁশ, সাবাই ঘাস ও নরম কাঠের ওপর নির্ভর করতে হয়, যেগুলির অবস্থান ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। এর কারণ নিকটবর্তী অঞ্চলের কাঁচামাল ব্যবহারের ফলে তা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

(২) রাসায়নিক কাঁচামালের সমস্যা—কাগজ শিল্পে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হয়। কাগজ কলগুলিকে অনেক সময় রাসায়নিক দ্রব্যের জন্য বিদেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ফলে উৎপাদনে খরচ বাড়ে। 

(৩) পরিবহনজনিত সমস্যা – বনজ কাঁচামাল অঞ্চলগুলি দূরে সরে যাওয়ায় এবং রেলপথ সব জায়গায় না থাকায় সড়কপথে পরিবহন ব্যয় বেশি পড়ে। ফলে উৎপাদন ব্যয় বাড়ে।

(৪) কলগুলিতে আধুনিকীকরণের অভাব—অনেক কলেই যন্ত্রপাতি পুরনো আমলের। এগুলির পরিবর্তে নতুন যন্ত্রপাতি বসানো দরকার। এতে কাগজের গুণমান বাড়বে এবং উৎপাদন ব্যয়ও কমবে। তবে এর জন্য প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন যা শেয়ার বিক্রি করে বা সরকারি ও ব্যাঙ্ক ঋণ থেকে পাওয়া সম্ভব।

(৫) বিদ্যুৎ ঘাটতি—চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন অধিকাংশ রাজ্যই কম। ফলে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ ঘাটতি উৎপাদনকে ব্যাহত করে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা কাগজ শিল্পের উন্নতির জন্য জরুরি।

পশ্চিমবঙ্গের প্রথম কাগজ কল কোথায় স্থাপিত হয় ? 

উঃ  হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে  (1832)

(৬) প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে উচ্চমানের কাগজের কম উৎপাদন।

(৭) পরিবর্ত পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাঁচামাল (যেমন পুরনো কাগজ, ছেঁড়া কাগজ, আখের ছিবড়ে, শন, খড়) ব্যবহারে পুরনো কলগুলির প্রযুক্তিগত অসুবিধা।

(৮) শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের অবনতিতে কাগজের কল বন্ধ হওয়া ইত্যাদি। রাজ্যে কলেজের বিরাট বাজার থাকা সত্ত্বেও কাগজ কল-এর টিটাগড়, নৈহাটি, হালিশহর, রাণীগঞ্জ কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁচামাল বাঁশ ও সাফাই ঘাড় সরবরাহে অনিশ্চয়তা, বিদ্যুৎসংকল, শ্রমিক, অসন্তোষ, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের কলগুলির সাথে প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গে কাগজকলগুলি টিকে থাকতে না পেরে পর পর বন্ধ হয়ে গেছে।


Post a Comment

0 Comments