পুনা চুক্তি /পুনা চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়/ পুনা চুক্তির তাৎপর্য /পুনা চুক্তি কত সালে হয় /পুনা চুক্তি কবে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় /পুনা চুক্তি কবে হয়

 পুণা চুক্তি ? পুনা চুক্তির তাৎপর্য ?  পুনা চুক্তি কবে  কবে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়  ? 


১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড তাঁর ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা' নীতি ঘোষণা! করলে মহাত্মা গান্ধি অত্যন্ত মর্মাহত হন। এই সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি পুণার যারবেদা জেলে (২২ সেপ্টেম্বর) আমরণ অনশন শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসি নেতৃবৃন্দ চিন্তিত হয়ে পড়েন। 

(i) পুণা চুক্তি স্বাক্ষর: শেষপর্যন্ত মদনমোহন মালব্য, রাজাগোপালাচারি, ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ এবং ড. আম্বেদকরের প্রচেষ্টায় ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ২৪ সেপ্টেম্বর গান্ধিজির সঙ্গে আম্বেদকরের পুণা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

(ii) পুণা চুক্তি: পুণা চুক্তি অনুযায়ী স্থির হয় যে—

1. ভারতের অনুন্নত হিন্দুসম্প্রদায় আইনসভার নির্বাচনে পৃথক লড়াই থেকে সরে আসবে।

2. অনুন্নত হিন্দুজাতি ও বর্ণহিন্দুরা উভয়েই যৌথভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

3. তবে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি দ্বারা অনুন্নত সম্প্রদায়গুলির জন্য আইনসভায় যে সদস্যসংখ্যা নির্ধারিত করা হয়েছিল তা দ্বিগুণ করা হয়।

 (iii) চুক্তির গুরুত্ব / পুনা চুক্তির তাৎপর্য : এই চুক্তি অনুযায়ী * ড. আম্বেদকর হিন্দুদের যৌথ নির্বাচনের প্রস্তাব মেনে নিলে গান্ধিজি তাঁর আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে নেন। সরকারও এই প্রস্তাব স্বীকার করে নেয় এবং গান্ধিজিকে বিনাশর্তে মুক্তি দেওয়া হয়।*প্রাদেশিক আইনসভাগুলিতে অনুন্নত হিন্দুরা ১৪৮টি আসন সংরক্ষণের অধিকার পায়। * এইভাবে সাময়িকভাবে হিন্দু সমাজের বিভাজন বন্ধ হয়। *এই চুক্তির পর থেকেই গান্ধিজি হরিজন আন্দোলন তথা ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহের রাস্তা অনুসরণ করেন।



Post a Comment

0 Comments