বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু - Khudiram Bose-ক্ষুদিরাম বসু সারণীয় কেন

বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু।  অথবা, ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে ক্ষুদিরাম বসুর ভূমিকা কী ছিল ? ক্ষুদিরাম বসু সারণীয় কেন 



 বিপ্লবী আন্দোলনে ক্ষুদিরাম বসুর অবদান / ক্ষুদিরাম বসু জীবনী

(i) রাজনৈতিক কার্যকলাপ: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ক্ষুদিরাম বসু জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। এই সময় তিনি যুগান্তর গোষ্ঠীর একনিষ্ঠ সদস্য হন।

(ii) কিংসফোর্ড হত্যার ষড়যন্ত্র: কলকাতার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন অত্যাচারী কিংসফোর্ড। যুগান্তর গোষ্ঠী তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব দেন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকিকে। এই হত্যার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয় মুরারিপুকুরের বাগানবাড়িতে। এই খবর পেয়ে প্রশাসন কিংসফোর্ডকে বিহারে বদলি করে দেয়।

(iii) বোমা নিক্ষেপ: ক্ষুদিরামরা হতোদ্যম হননি। তাঁরা মুজাফ্ফরপুর রওনা হন। কিন্তু সফল হননি। কারণ কিংসফোর্ডের গাড়ি ভেবে তাঁরা যে গাড়িতে বোমা ছোড়েন (৩০ এপ্রিল, ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ) তাতে তিনি ছিলেন না। ছিলেন মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা। ফলে এঁরাই মারা যান।

চিত্র:  ক্ষুদিরাম বসু

(iv) ক্ষুদিরামের ফাঁসি: বোমা ফেলেই তাঁরা আত্মগোপন করেন। কিন্তু ১ মে ওয়েনি রেল স্টেশনে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি ধরা পড়েন। তবে ধরা পড়ার আগেই প্রফুল্ল চাকি নিজের রিভলবারের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। শুরু হয় ক্ষুদিরামের বিচার। তাঁর হয়ে মামলা লড়েন কালিপদ বসু।

• মূল্যায়ন: শেষপর্যন্ত ক্ষুদিরামের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। দিন ধার্য হয় ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১১ আগস্ট। ফাঁসির মঞ্চে ভারতমাতার জয়গান গেয়ে তিনি হাসিমুখে নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন। এইভাবে শেষ হয় বাংলার অগ্নিশিশু ক্ষুদিরাম বসুর মুক্তিযুদ্ধ।


Post a Comment

0 Comments