মহাকাব্য কাকে বলে ? মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য ? মহাকাব্য কত প্রকার ? মহাকাব্যের দুটি প্রকার কি কি ? Mahakavya kake bole

মহাকাব্য বলতে কী বোঝায়? মহাকাব্য কত প্রকার? এর বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ কর। Mahakavya kake bole  

মহাকাব্য কাকে বলে ? 


সংজ্ঞা : আদি-মধ্য-অস্ত্যযুক্ত ত্রিভুবন ব্যাপ্ত সুবিশাল কাহিনীকাব্যকে মহাকাব্য বলে। মহাকাব্যের নায়ক হন সম্ভ্রান্তবংশীয় জাতীয় বীর। ভারতীয় অলঙ্কার শাস্ত্র মতে অন্ততঃ নটি সর্গে বিভক্ত হতে হবে। এর বিষয়বস্তু হবে নিসর্গ বর্ণনা, যুদ্ধ, উদ্যানক্রীড়া, স্থানান্তর গমন ইত্যাদি। মহাকাব্যের নায়ক হবেন ধীরোদাত্ত, তাঁর উত্থান-পতনের মধ্যেই জাতীয় ভাগ্য জড়িত থাকে। বিস্তৃত কাহিনী হলেও তার গঠন হবে সংহত ও দৃঢ়।

মহাকাব্য কয়টি ?  মহাকাব্য কত প্রকার ? মহাকাব্যের দুটি প্রকার কি কি ? 

মহাকাব্য দুই প্রকার—স্বতঃস্ফূর্ত বা আদি মহাকাব্য (Authentic Epic) এবং আলংকারিক বা সাহিত্যিক মহাকাব্য (Literary Epic)। আদি মহাকাব্যের উদাহরণ হল – ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত', 'ইলিয়াড', ‘ওডেসি'। সাহিত্যিক মহাকাব্যের উদাহরণ—মধুসুদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য', ভার্জিনের 'ঈনিড', দান্তের ‘ডিভাইন কমেডি' প্রভৃতি।

মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য :  আদি মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্যগুলি 

(১) মহাকাব্যের বিষয়বস্তু হবে পুরাণ বা ইতিহাসকেন্দ্রিক। 

(২) মহাকাব্যের নায়ক হবেন ধীরোদাত্ত গুণসম্পন্ন কোনো উচ্চবংশ জাত।

(৩) অন্ততঃ নটি ও সর্বাধিক ত্রিশটি সর্গে বিভক্ত হতে হবে। প্রতি সর্গের শেষে পরবর্তী সর্গের সূচনাংশ লিখিত হবে এবং একই ছন্দে রচিত হতে হবে।

 (৪) দেবদেবীর আশীর্বাদ বা নমস্ক্রিয়া দ্বারা মহাকাব্যের শুরু হবে। 

(৫) মহাকাব্যের প্রতিবেশ হবে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালব্যাপী।

(৬) মূল রস বীর, শান্ত বা শৃঙ্গার রসের হবে।

 (৭) যুদ্ধবিগ্রহ, নিসর্গবর্ণনা, উদ্যানক্রীড়া ইত্যাদি বর্ণিত হবে।

(৮) মহাকাব্যের ভাষা হবে অলঙ্কারপূর্ণ গম্ভীর ও সংযত।


Post a Comment

0 Comments